শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কথিত ‘চলার সাথী’ -দ্বিতীয় পর্ব
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কথিত ‘চলার সাথী’ -দ্বিতীয় পর্বচৌর্য্যে পৱিণতিৱিপুদমনেসঞ্চয় ও সেবাসেবাহীন শুশ্রুষায়আহাম্মকী সেবাশয়তানী অহং এর নিয়ন্ত্রণেসেবাবিহীনের দাবীঅমৃত ও মরণআদর্শপ্রাণতাৱ সাক্ষ্যসংঘাতে চেতনতা ও ধৰ্ম্মআদর্শ বা গুরু ও আদর্শানুৱক্তিপ্রেমের চাহিদাকামেৱ চাহিদাকাম দমনে প্রেমপ্রেমাস্পদ যাজনেভালবাসা- বিপরীত সংঘাতেআদর্শ- শয়তানের কুহকেবিবেকযথার্থ প্রেমযাজনেৱ অপ্রবৃত্তিতে জ্ঞান ও বোধেৱ দীনতাযাজনে উন্নয়নযাজনে প্রিয়-উপভােগবহুরূপী কামঅবলম্বনে আশ্রয় ও আসক্তিসংশয়েপাওয়ায়শােকেসন্দিগ্ধ আসক্তিযাজন অহঙ্কারে ও প্রেমেপ্রিয়র মুখােসে অহং যাজনেআদর্শাবহেলায় কাপুরুষতাযাজনে বৃদ্ধি ও অপলাপমনগড়া ধারণায় সহজজ্ঞানের বাধাভাবচরিত্রে ও চলনেCurrently Reading:Read More On IstoKathan:Stay Connected with ISTOKATHANFaceBook YouTube Linkedin Instagram Pinterest Twitter Email Us
চৌর্য্যে পৱিণতি
চুরি করিও না ;-
চাহিদায় ঘৃষ্ট বুদ্ধিবৃত্তি কাহাকেও উদ্বৃত্ত না করিয়া,
অন্যায্যভাবে, অজ্ঞাতসারে পরিপূরিত হইতে চায়—
তাহাই চৌর্য্য ;
চৌৰ্য্যে বুদ্ধিবৃত্তি দিন দিন অন্যের ক্ষতি করিয়া
অপকর্ষের দিকে উধাও হয় বলিয়া
অর্থাৎ করার ভিতর দিয়া
যেমন করিয়া চাহিদাকে পূরণ করিলে
বোধ ও জ্ঞানের উন্মেষে তাহা পাওয়া যায়-
তাহাই চৌর্য্যে আহত ও অবসন্ন হইয়া
অধর্মকে আলিঙ্গন করে বলিয়া
এত ঘৃণ্য, এত পাপ, এত হীনতা-
তাই বলি এই চৌর্যবৃত্তিকে প্রশ্রয় দিয়া
তোমার ও তোমার পারিপার্শ্বিকের
সর্বনাশ করিও না , সাবধান হও! ৩৭।
ৱিপুদমনে
কামক্রোধাদি রিপুগণকে
দমন করিবার প্রয়াসে বিব্রত হইয়া উঠিও না ;
ঐ বিব্রত ভাব উহাদিগকে প্রতিষ্ঠাই করে ,
বরং উদ্দীপ্ত রিপুকে এমন কোনও চিত্তাকর্ষক
বিষয় বা ভাবে নিয়োজিত হইয়া
নিরস্ত কর যেন উহার প্রশ্নই
তোমাতে কমই মাথা তোলা দেয়;–
দেখিও রিপুকে আয়ত্ত করা কত সহজ! ৩৮।
সঞ্চয় ও সেবা
সঞ্চয় করিও, কিন্তু সেবার জন্য।
তোমার সঞ্চয় যদি সেবাকেই পূজা না করিল,
নিশ্চয় জানিও-
উহা যাহা বর্ধনকে ক্ষুন্ন করে তাহারই জন্য! ৩৯।
সেবাহীন শুশ্রুষায়
সেবা মনে তাহাই- যাহা মানুষকে
সুস্থ, স্বস্থ, উন্নত ও আনন্দিত করিয়া তোলে ,
আর, তাহা হয় না অথচ শুশ্রুষা আছে,
সে সেবা অপলাপকেই আবাহন করে! ৪০।
আহাম্মকী সেবা
সেবা যেখানে স্বাস্থ্য, আনন্দ
ও উন্নতি আনিতে পারে না,
অথচ পরিশ্রম, উৎকণ্ঠা ও আকুলতা
সমস্তই ব্যর্থতায় নিঃশেষ হইয়া যায়–
নিশ্চয় জানিও সে সেবা অহাম্মকী সেবা! ৪১।
শয়তানী অহং এর নিয়ন্ত্রণে
তোমার অহঙ্কার যখনই
অন্যকে খাটো করিয়া বা অস্বীকার করিয়া
নিজেকে প্রতিষ্ঠা করিতে চায়
তখনই তাহাকে শয়তানী অহং।বলিয়া চিনিও ;-
তুমি অহংকে এমন ভাবে নিয়োজিত করিও
যাহাতে তোমাকে চালনা করিয়া
তোমার পারিপার্শ্বিকের জীবন, যশ ও বৃদ্ধিকে
আমন্ত্রণ করতে পার! ৪২।
সেবাবিহীনের দাবী
মানুষের সেবা—যা’তে সে স্বস্তি, শান্তি,
ও আনন্দ পায়,
অন্ততঃ এমনতর কিছু-না করে’
নেবার বেলায় আপনার বলে’ দাবী করে’
নিতে যেও না,–
তা’তে পাওয়া তো হয়ই না, বরং লাঞ্ছনা ও তাচ্ছিল্যই
তোমাকে অপঘাতে ক্ষুব্ধ করিয়া তুলিবে! ৪৩।
অমৃত ও মরণ
তুমি যতই বহুতে অনুরক্ত হইবে—
তা’ প্রত্যেকে প্রত্যেক রকমে
এককে উপলক্ষ্য না করিয়া,
তখনই সেই প্রত্যেক অনুরক্তি
আলাহিদাভাবে, নানা রকমে,
বিচ্ছিন্নবৃত্তির সৃষ্টি সহকারে
তোমাকে ছিন্নভিন্ন করিয়া
মূঢ়ত্ব ও মরণের পথ পরিষ্কার করিবে ;-
আর, যখনই তুমি একানুরক্তিকে অবলম্বন করতঃ
বহুকে আলিঙ্গন করিবে
ঐ বহু ও বহু হইতে সৃষ্ট বৃত্তিগুলি
সেই একানুরক্তিতে নিরোধ লাভ করিয়া ক্রমান্বয়ে বিন্যস্ত হইয়া
বোধ ও জ্ঞানের উদ্দীপনার সহিত
অমৃতকে নিমন্ত্রণ করিবে! ৪৪।
আদর্শপ্রাণতাৱ সাক্ষ্য
তুমি যতই আদর্শে স্বার্থপ্রাণ হইবে—
সেবায় দক্ষতা, কাৰ্য্যে নিপুণতা,
কথায় ও ব্যবহারে মিষ্টতা,
সহানুভূতি ও সংবর্ধনা –
এ গুলি তোমার চরিত্রকে অনুলিপ্ত করিয়া
তোমার পারিপার্শ্বিকে প্রতিফলিত হইবেই—
তুমি অাদর্শে যে স্বার্থপ্রাণ হইয়াছ,
তাঁহার প্রতিষ্ঠাই যে তোমার পরম স্বার্থ
এই অকুিতিই তোমাকে বাধ্য করাইয়া,
অথচ অজ্ঞাতসারে এমনতর করিয়া তুলিবে !–
আর ইহাই তোমার অদর্শপ্রাণতার সাক্ষ্য! ৪৫।
সংঘাতে চেতনতা ও ধৰ্ম্ম
তুমি চেতন তখনই
যখনই তোমার পারিপার্শ্বিক
তোমাতে সংঘাতের সৃষ্টি করে;
আর এই চেতনতাই তুমি যে জীবনে আছ
তাহারই অভ্রান্ত সাক্ষ্য।
তাহা হইলেই তোমার পারিপার্শ্বিক
তোমাতে যেমনতর সংঘাতের
সৃষ্টি করিবে, তোমার ভাব, বোধ ও বৃত্তির
তেমনতরই সমাবেশ হইবে ;
এই যদি হয়- তবে তাহা করাই ধর্ম
যাহাতে তুমি তোমার পারিপার্শ্বিক লইয়া
জীবন, যশ ও বৃদ্ধির ক্রমবর্ধনে বর্দ্ধিত হইতে পার—
আর তুমি তাহাই বল, তাহাই আচরণ কর,
তাহারই অনুষ্ঠান কর
যাহাতে তুমি ও তোমার পারিপার্শ্বিকে যেন এমনতরই হয় ! –
দেখিবে অমঙ্গল, অশুভ ও ভয় হইতে কতখানি ত্রাণ পাও! ৪৬।
আদর্শ বা গুরু ও আদর্শানুৱক্তি
যাঁহার সেবা, সাহচর্য্য ও অনুরক্তির সহিত অনুসরণ
মানুষকে জীবন, যশ ও বৃদ্ধিতে
ক্রমোন্নত করিয়া তোলে-
যাঁহার প্রতি ঐকান্তিক অনুরক্তি বা ভক্তি
অটুট ভাবে নিবদ্ধ থাকায়,
পারিপার্শ্বিক ও জগৎ তাহাতে কোন প্রকার
বিক্ষেপ সৃষ্টি না করিতে পারায়,
ঐ বিক্ষিপ্ত সংঘাতগুলি সম্বদ্ধ ও বিন্যস্ত হইয়া,
সার্থকতা লাভ করিয়া,
ভাবে, জ্ঞানে ও বোধে সমৃদ্ধ হইয়া উঠিয়া
অমৃতকে আলিঙ্গন করে তিনিই আদর্শ, ইষ্ট বা গুরু
তাই ইষ্ট, অদর্শ বা গুরুতে ঐকান্তিক অনুরক্তি
মানুষের জীবনের পক্ষে এত প্রয়োজনীয় ;
ধর্মকে অটুট করিয়া জীবনকে বহন করিতে
হলেই এই আদর্শ, ইষ্ট বা গুরুই হচ্ছে প্রধান প্রয়োজনীয়!
তুমি তাঁহাতে তোমার অনুরক্তি, ভক্তি, ভালবাসাকে
ন্যস্ত করিয়া- তাঁহাকেই পরম স্বার্থ বিবেচনায়
তাঁহারই অনুসরণ কর—কৃতার্থ হইবে। ৪৭।
প্রেমের চাহিদা
প্রেম বা ভালবাসা চায় তার প্রেমাস্পদকে
নিজের যা-কিছু-সব নিঙড়াইয়া
জীবন, যশ ও বৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠা করিতে, –
প্রেমাস্পদই তার পরম স্বার্থ, সে চায় না তা’
যা নাকি তার প্রিয়কে স্বার্থমণ্ডিত না করে,-
সে তার জগৎ খুঁজিয়া যাহাই পায়-
জীবন, যশ ও বৃদ্ধির অনুকূল-
তাহাই অনিয়া তাহার প্রেমাস্পদকে সাজাইয়া
নিজেকে সার্থক বিবেচনা করে,-
আর ইহাতেই তার পুষ্টি, তৃপ্তি ও মুক্তি ;-
সে স্বাধীন হইতে চায়না তাঁহাকে বাদ দিয়া,
প্রিয়ের অধীনতাই, প্রিয়ের সেবাই
তার ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ ;-
এমনই করিয়া প্রেম তার প্রিয়কে
বোধে, জ্ঞানে, কর্মে, জীবনে ও ঐশ্বর্য্যে
প্রতুল করিয়া তুলিয়া
অজ্ঞাতসারে নিজেও প্রতুলে প্রতিষ্ঠিত হয়—
তাই প্রেম এত নিষ্পাপ, প্রেম এতই মহান! ৪৮।
কামেৱ চাহিদা
কাম চায় কাম্যকে তার চাহিদার মতন
উপঢৌকন পেতে,
সে কাম্যকে সংবৃদ্ধ করিবার বালাইকে
বহন করিতে একদম নারাজ,
যদি তাতে তার ভোগের কোন প্রকার
ব্যতিক্রম না ঘটে,-
তাই কাম মানুষকে মূঢ় করিয়া
তার জগৎ হইতে চুরি করিয়া,
ততটুকু পর্যন্ত তার সীমায় আবদ্ধ রাখিতে চায়
যতটুকু ভোগলিপ্সাই তাহাকে যেমনতর
উদ্দীপ্ত করিয়া রাখে ;-
আর তার অবসানেই সবই অবসান!
সেই জন্য তার বৃদ্ধি নাই,
জীবন ও যশ সঙ্কোচশীল,
তমসার অতল গহবরে মরণ-প্রহেলিকায়
তার স্থিতি – তা’-ই পাপ,
তাই সে দুৰ্ব্বল, অবসন্ন ও অজ্ঞান,
বুঝিয়া দেখ কি চাও? ৪৯।
কাম দমনে প্রেম
প্রেমকে অবলম্বন না করিয়া
কামকে যে দমন করিতে যায়
সাধারণতঃ বিকট উত্থানে
কামই তাহাকে বিধ্বস্ত করিয়া থাকে! ৫০।
প্রেমাস্পদ যাজনে
স্বতঃ উৎসারিত প্রেমাস্পদের গুণগান
তাঁর যাজনে স্বভাবসিদ্ধতা
টান বা ভালবাসার
একটা চরিত্রগত লক্ষণ ;-
ইহাতে বোঝা যায় প্রেমাস্পদ লইয়া
সে সুস্থ ও দীপ্ত আছে! ৫১।
ভালবাসা- বিপরীত সংঘাতে
ভাব, ভক্তি, ভালবাসা যদি তার বিপরীত সংঘাতে
উদ্দামই না হইল,- তবে তা আদৌ ছিল কি না
সন্দেহযােগ্য বটে ! ৫২।
আদর্শ- শয়তানের কুহকে
তুমি যদি এমনতর কিছুতে লুব্ধ হইয়া
তোমার আদর্শকে অতিক্রম কর,-
কিন্তু তা’ তোমার অাদর্শকে
লক্ষ্যও করে না, প্রতিষ্ঠাও করে না,
বুঝিও শয়তানের কুহকে
তুমি মুগ্ধ ও লুব্ধ হইয়াছ,-
এখনও ফিরিলে নিস্তারকে স্পর্শ করিতে পার! ৫৩।
বিবেক
পারিপার্শ্বিকের সাড়া
যাহা স্মৃতি ও জানা হইয়া মস্তিষ্কে আছে–
তাহার অনুধাবন করাই বিবেক,
আর, ঐ প্রকারে অনুধাবন করিয়া
যিনি কৰ্ত্তব্য স্থির করেন। তিনি বিবেকী ! ৫৪।
যথার্থ প্রেম
প্রেম মানুষের অন্তরকে উচ্ছল করিয়া
পারিপার্শ্বিকে উৎসারিত হইয়া
প্রিয়কে সেবা ও যাজনে প্রতিষ্ঠা করে;
আর এ লক্ষণ যেখানে নাই
তাহাকে সন্দেহ করিও বুঝিতে চেষ্টা করিও! ৫৫।
যাজনেৱ অপ্রবৃত্তিতে জ্ঞান ও বোধেৱ দীনতা
যখনই দেখিবে
তোমার যাজন-প্রবৃত্তি দীন হইতেছে
বা থামিয়া গিয়াছে,
ঠিক বুঝিও – তোমার অন্তরের বোধ
ও উপভোগ দিন দিন স্থবির হইয়াছে ও হইতেছে! ৫৬।
যাজনে উন্নয়ন
যাজন যাজিত যা’ তা’কে নবীন করিয়া
নানারকমে উপভোগ করায় ;-
তাই, জ্ঞান বা প্রেমের যাজন উন্নতির একটা সহজ সোপান! ৫৭।
যাজনে প্রিয়-উপভােগ
প্রেম বা জ্ঞান
যখন জীবনকে উৎফুল্ল করিয়া তোলে,
তথনই যাজন-প্রবৃত্তি উদগ্রীব হইয়া ওঠে
নানান্ রকম নতুন মানুষের খোঁজে ;-
সে বলিতে চায় নানান রকমে, নানান ধাঁচে
তা’র প্রিয় যা’ তারই কথা,
আর ভোগ করিতে চায় নানান রকমে
অমনি করিয়া ;
যখনই দেখিবে এই খোঁজাখুঁজি
আর এই পাওয়া-পাওয়ি থামিয়া যাইতেছে,
প্রিয়ের বোধ ও বৃদ্ধিও তোমার ভিতরে নিরেট হইতেছে। ৫৮।
বহুরূপী কাম
না-পাওয়া যেখানে তোমাকে ক্ষুন্ন করে,
যার বৃদ্ধি তোমাকে অবসন্ন করে,
অন্যের প্রতি অাদরে তোমাকে উদ্বিগ্ন করে,
অথচ অাসক্তি, অনুরক্তি
তোমাকে লেলিহান করিয়া তুলিয়াছে
বুঝিও সেখানে প্রেম নাই আছে বহুরূপী কাম! ৫৯।
অবলম্বনে আশ্রয় ও আসক্তি
আশ্রয় বলিয়া অবলম্বন করার চাইতে
আসক্ত বলিয়া অবলম্বন করা ঢের ভাল ;-
প্রথম অবলম্বনে চরিত্র রঞ্জিত না-ও হইতে পারে,
কিন্তু দ্বিতীয়ে তাহা হইতেই হইবে-
ইহা কিন্তু পাত্র হিসাবে! ৬০।
সংশয়ে
সংশয়শীল নিয়ত উন্নতিপ্রবণতাকে সন্দেহ করিয়া কৰ্ম্মনিরস্ততায়
নিজেরই বিনাশকে ডাকিয়া আনে! ৬১।
পাওয়ায়
পাইতে করাকেই অনুসরণ করিও, শুধু বিবেচনা —
পাওয়াকে অনেক সময় অবশ করিয়া তােলে! ৬২।
শােকে
শােক যদি অনুশােচনাকে ডাকিয়া অপলাপের পথ সঙ্কীর্ণ করিয়া
তােলে তবে তাহাই সমীচীন,
নতুবা তাহাকে তাচ্ছিল্য করাইশ্রেয়ঃ! ৬৩।
সন্দিগ্ধ আসক্তি
নিজের কাহারও প্রতি ভাব, ভক্তি, ভালবাসা ইত্যাদিকে
অস্বীকার করা বা সন্দেহ করা বা বিশ্লেষণ করা —
আর, জীবনের Elixir-
কে আঁস্তাকুড়ে ছিটিয়ে দেওয়া একই কথা! ৬৪
যাজন অহঙ্কারে ও প্রেমে
যাজন যখন প্রেমাস্পদের নামে নিজের অহঙ্কারের হয়, আহত
হইলেই তাহা অবসন্ন হইয়া পড়িবে তুমি কাহার যাজন করিতেছ,
এই লক্ষণেই তাহা ধরিতে পারিবে; যাজনটা প্রেমজ ও
প্রেমাস্পদের হইলেই-বাধায় বা অপঘাতে তাহা এমনতর
উদ্দাম, জয়মুখর ও উভয়তঃ উপভােগ্য হইয়া ওঠে — যে ভােগ
করিয়াছে কেবল তাহারই বােধগম্য তাহা! ৬৫।
প্রিয়র মুখােসে অহং যাজনে
তােমার যাজনের জয়, গৌরব ও উপভােগের কথা বলিয়া
তােমার প্রেমাস্পদের কাছে তােমার আবশ্যকতা, বাহাদুরি ও
প্রাধান্যের প্রতিষ্ঠা যখনই তােমাকে উদগ্রীব করিয়া তুলিয়াছে,
আর, সেই প্রতিষ্ঠার বিন্দুমাত্র ত্রুটিও তােমাকে অসহনশীল
করিয়া তুলিয়া, প্রেমাস্পদে ও তাহার পারিপার্শ্বিকে বেদনা ও
বিপরীতভাবের উদ্বোধন করিতেছে, বুঝিও, এ-যাজন তােমার
প্রেমাস্পদে প্রেমের নয়কো, নিছক অহং-প্রেমের! ৬৬।
আদর্শাবহেলায় কাপুরুষতা
যে-পুরুষ তাহার আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য গৌরবের অনুসরণ না করিয়া,
স্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্য কামিনী ও কাঞ্চনে অনুরক্ত হইয়া,
তাচ্ছিল্য ও বিফলতাকে আহরণ করে–
তাহাকে পুরুষ না বলিয়া কাপুরুষ বলাই ভাল! ৬৭।
যাজনে বৃদ্ধি ও অপলাপ
যাহাকে যাজন করিবে তাহাই বৃদ্ধি পাইবে–
তাই, নজর রাখিও, যাহাতে জীবন ও বৃদ্ধির
অপলাপ আনিয়া থাকে—
তোমার যাজন-প্রবৃত্তিকে
কিছুতেই সে-দিকে চালনা করিও না;–
মরিও না ও মারিও না!৬৮।
মনগড়া ধারণায় সহজজ্ঞানের বাধা
শােনা বা কোন মনগড়া ধারণার চশমা পরে যে জগতের ব্যষ্টি
ও সমষ্টিকে দেখে ও বােধ করে,
সহজজ্ঞান তাহাকে কিছুতেই বিরক্ত করে না! ৬৯।
ভাবচরিত্রে ও চলনে
যেমনতর ভাব যখন যেমনভাবে তােমাতে অধিষ্ঠিত থাকিবে,
তােমার চিন্তা, চলন ও ভাষা সাধারণতঃ
তেমনতরই হইবে,
আর, ইহা যতই উন্নত হইয়া তােমাতে
সমাহিত থাকিবে, তােমার চিন্তা,
চলন ও ভাষাও তেমনতর উন্নত ধরণের হইবে! ৭০
Currently Reading:
পরম-প্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কথিত ‘চলার সাথী’ -দ্বিতীয় পর্ব
Read More On IstoKathan:
পরম-প্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কথিত ‘চলার সাথী’ -প্রথম পর্ব
https://istokathan.com/%e0%a6%b8%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%a3-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac-%e0%a6%b9%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%96/
সরস্বতী দেবীর পূজা সম্বন্ধে শ্রীশ্রীঠাকুর
কিভাবে কথা বলতে হয়’ -উত্তরে শ্রীঠাকুর
সক্রেটিসের ফর্ম্মুল’ নিয়ে আলোচনা- বড়দা ও শ্রীশ্রীঠাকুর
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে পরামদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের কতিপয় উক্তি