একজন পারস্পরিক অন্নপান গ্রহণের মধ্য দিয়ে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কথা তুললেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর —– আমরা কিন্তু ঐক্য বলতে বুঝি না যে প্রত্যেককে প্রত্যেকের হাতে খেতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির দিক্ দিয়ে তা’ ঠিক নয় । সদাচারী না হ’লে তার হাতে খেতে নেই । সদাচার আবার আধ্যাত্মিক, মানসিক ও শারীরিক। শুনেছি আমাদের আঙ্গুলের ডগায় এমন লক্ষ-লক্ষ ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে যার একটিই আমাদের জীবন নাশের পক্ষে যথেষ্ট। একটা মেথর ময়লা ঘেঁটে গিয়ে কাপড়ের কোঁচায় মুড়ি নিয়ে বেশ হয়তো খাচ্ছে, তার কিছু হ’চ্ছে না, কারণ তার immunity form করেছে (অনাক্রম্যতা সৃষ্টি হয়েছে), কিন্তু আমরা যদি সে মুড়ি খাই, তাহ’লে সাবাড় হ’য়ে যাব । কত লোক আছে যক্ষ্মার বাহক। তারা নিজেরা বেঁচে আছে, কিন্তু অন্যের মধ্যে মৃত্যুর বীজ ছড়াচ্ছে। তাই যার-তার হাতে খেতে নেই। কিন্তু সুস্থ, সদাচারী ও বিহিত সংস্কারশুদ্ধ হ’লে সে যে-কোন ধর্ম্মাবলম্বীই হো’ক না কেন, তার হাতে খেতে বাধা নেই ——অবশ্য যেখানে যার হাতে যেমন ক’রে যা’ খাওয়া চলে —— কৃষ্টি ও বৈশিষ্ট্যকে উল্লঙ্খন না ক’রে। শরীর-মনের স্বাস্থ্যের জন্যই এসব পালা দরকার।
প্রশ্ন–কি ক’রে বোঝা যাবে একজন সদাচারী কিনা ?
শ্রীশ্রীঠাকুর–আপনি এই নিয়ম-কানুন মেনে চলুন । আপনার চোখ খুলে যাবে, নিজেই তখন বুঝতে পারবেন, কে কী।
-আঃপ্রঃ-৬ খণ্ড
Read More On IstoKathan:
কিভাবে কথা বলতে হয়’ -উত্তরে শ্রীঠাকুর
সক্রেটিসের ফর্ম্মুল’ নিয়ে আলোচনা- বড়দা ও শ্রীশ্রীঠাকুর
https://istokathan.com/%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%aa%e0%a7%82%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a6_%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a7%9c%e0%a6%a6/