প্রত্যেকটা মানুষের বাঁচা–
বাড়ার স্বার্থটাকেই জানবে তোমাদের স্বার্থ
বাড়ার স্বার্থটাকেই জানবে তোমাদের স্বার্থ
শ্রীশ্রীঠাকুর প্রাতে যতি-আশ্রমের প্রাঙ্গণে উপবিষ্ট। যতি- বৃন্দ আছেন।
কথায়-কথায় শ্রীশ্রীঠাকুর তাদের বললেন——–আমরা রাজা ভিক্ষুক। আমাদের কিছু নেই, আবার সব আছে।
শ্রীশ্রীঠাকুর সন্ধ্যায় যতি-আশ্রমের প্রাঙ্গণে বসে আছেন।
কয়েকজন দাদা এবার নতুন পাঞ্জা পেলেন। বীরেনদা
(ভট্টাচার্য) তাঁদের শ্রীশ্রীঠাকুর প্রণাম করাতে নিয়ে—– আসলেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁদের বললেন——প্রত্যেকের হাতে একটা করে অনুশ্রুতি যেন থাকে। আর, যারা ইংরেজি
-টিংরেজি জান, তারা বাইবেল ও অন্যান্য গ্রন্থাদির—-
comparative study (তুলনামূলক পাঠ)ক’রে রাখবে।
তোমরা সবসময় দেখবে যাতে প্রত্যেকটা যজমান ভাল
থাকে,উন্নত হয়,তাদের পরষ্পরের মধ্যে এবং তোমাদের
মধ্যে একটা সম্প্রীতির ভাব বজায় থাকে। অযথা——– বিরোধের সৃষ্টি যেন না হয়। প্রত্যেকটা মানুষের বাঁচা বাড়ার স্বার্থটাকেই জানবে তোমাদের স্বার্থ। আর,——
সেইভাবে চলবে। তোমাদের চরিত্র যেন এমন হয় যে,
প্রত্যেকটা লোক যেন তোমাদের শ্রদ্ধা ক’রে সুখী হয়।
তোমরা যেই-পথ দিয়ে হেঁটে যাবে, সেই পথের ধূলি মাথায় তুলে নিয়ে যেন মানুষ কৃতার্থ মনে করে। আর,–
সবসময় সদাচারের প্রতি লক্ষ্য রেখে চলবে। যার-তার
হাতে খাবে না, দোকানে রেষ্টুরেন্টে খাবে না। মনে রেখো
, তোমাদের আচরণ দেখে সবাই শিখবে।
৩রা বৈশাখ,১৩৬০,বৃহস্পতিবার ( ইং ১৬।৪।১৯৫৩)
আলোচনা-প্রসঙ্গে (দ্বাবিংশ খন্ড)
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
Read More On IstoKathan:
দীক্ষা সংকল্প ও ইষ্টটান সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর
শ্রীশ্রীঠাকুর কেমন বিশ্ববিদ্যালয় (University) গড়তে চাইতেন??
সক্রেটিসের ফর্ম্মুল’ নিয়ে আলোচনা- বড়দা ও শ্রীশ্রীঠাকুর
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে পরামদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের কতিপয় উক্তি