By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept
IstoKathan- ইষ্টকথনIstoKathan- ইষ্টকথনIstoKathan- ইষ্টকথন
  • Home
  • Our Blog
  • Contact For Blogging
  • About Our Blogs
  • Category
Search
  • Advertise
© 2023 ISTOKATAHN Social Network. All Rights Reserved.
Reading: সরস্বতী দেবীর পূজা সম্বন্ধে শ্রীশ্রীঠাকুর
Share
Sign In
Notification Show More
Aa
IstoKathan- ইষ্টকথনIstoKathan- ইষ্টকথন
Aa
  • সুন্দর ব্যবহার
  • ধর্ম ও মানবতা
  • বইসমুহ
  • নিষ্ঠা ও আদর্শ
  • পরিবার ও সমাজ গঠন
  • ধর্ম ও মানবতা
  • Home
  • Our Blog
  • Contact For Blogging
  • About Our Blogs
  • Category
Have an existing account? Sign In
Follow US
  • Advertise
© 2023 ISTOKATHAN All Rights Reserved.
IstoKathan- ইষ্টকথন > Blog > বিবিধ আলোচনা > অন্যান্য আলোচনা > সরস্বতী দেবীর পূজা সম্বন্ধে শ্রীশ্রীঠাকুর
অন্যান্য আলোচনাপূজা-পার্বন ও দেবতাসদালোচনা ও বিশ্লেষণ

সরস্বতী দেবীর পূজা সম্বন্ধে শ্রীশ্রীঠাকুর

test
Last updated: 2023/11/07 at 4:48 AM
test
Share
10 Min Read
সরস্বতী দেবীর পূজা সম্বন্ধে শ্রীশ্রীঠাকুর
SHARE
দেবী সরস্বতীর পূজা সম্বন্ধে -শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র “অমিয়বানী”-তে বলেছেন: –

“প্রকৃত সরস্বতী-পূজা হ’চ্ছে ভজন। অনাহত সদাবিরাজিত শব্দ-ধারা যাহা সাধন-ফলে নিজ অভ্যন্তরে জাগরিত হয় এবং শ্রুত হয় তাতে প্রক্রিয়াবিশেষ যোগে মনোনিবেশ করাকে ভজন কহে। আজ বাইরে বৈখরী শব্দযোগে গীতবাদ্যাদি এবং ভজনযোগে খুব অভ্যন্তরস্থ শব্দে মনোনিবেশ করাই সেই পরাবাক্ বা পরশব্দরূপিণী সরস্বতীর পূজা। কিন্তু সকলে তো এ বোঝে না এবং জানে না—-তাদের অধম হলেও বাহ্যপূজা করা বাদ নয়।।”

সরস্বতী দেবীর পূজা সম্বন্ধে শ্রীশ্রীঠাকুর

Contents
“প্রকৃত সরস্বতী-পূজা হ’চ্ছে ভজন। অনাহত সদাবিরাজিত শব্দ-ধারা যাহা সাধন-ফলে নিজ অভ্যন্তরে জাগরিত হয় এবং শ্রুত হয় তাতে প্রক্রিয়াবিশেষ যোগে মনোনিবেশ করাকে ভজন কহে। আজ বাইরে বৈখরী শব্দযোগে গীতবাদ্যাদি এবং ভজনযোগে খুব অভ্যন্তরস্থ শব্দে মনোনিবেশ করাই সেই পরাবাক্ বা পরশব্দরূপিণী সরস্বতীর পূজা। কিন্তু সকলে তো এ বোঝে না এবং জানে না—-তাদের অধম হলেও বাহ্যপূজা করা বাদ নয়।।”Currently Reading:Read More On IstoKathan:Stay Connected with ISTOKATHANFaceBook  YouTube  Linkedin   Instagram  Pinterest  Twitter  Email Us

সরস্বতী বিদ্যার দেবতা। সকল বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী তিনি। গায়ত্রী-রহস্যোপনিষদে আছে, ‘সরস্বত্যাঃ সর্ব্বে বেদা অভবন্’—- সরস্বতী থেকেই সৃষ্টি হয়েছে সমস্ত বেদ। আরো নানা জায়গায় সরস্বতী সম্বন্ধে নানা উক্তি আছে। বিভিন্ন তাঁর নাম—- বাক্, বাক্যেশ্বরী, গির্ , ভাষা, ভারতী, বাণী প্রভৃতি। তিনি শুক্লবর্ণা, শ্বেতবসনা, কমলবাসিনী, হংসবিহারিণী। হস্তে তাঁর বীণা, গলায় মুক্তার মালা, ক্রোড়ে পুস্তক। এই রূপে আমরা মা-সরস্বতীকে দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু এই রূপের তাৎপর্য্য কী ?
পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কাছে আব্রহ্মস্তম্বপর্য্যন্ত সব বিষয়েরই আলোচনা হয়েছে। একবার সরস্বতী-পূজার প্রাক্কালে উঠল সরস্বতী-প্রসঙ্গ। জানতে চাওয়া হ’ল দেবীর সম্বন্ধে। প্রথমেই তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “সরস্বতী মানে কী ?” অভিধান দেখা হ’ল। অভিধানে আছে— ‘সরস্ + বতী’, সরস্ বা সরঃ মানে জল। তাহ’লে যিনি জলবতী, তিনি সরস্বতী। ওভাবে শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে বললে হ’ত না। তিনি প্রতিটি অর্থেরই ধাত্বর্থ দেখতে বলতেন। তদনুযায়ী ‘সরস্ ‘ শব্দের ধাতু দেখা গেল ‘সৃ’, মানে— গতি, চলা। শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, “তাহ’লে, সরস্বতী মানে— গতিবতী, যিনি গতির প্রতীক।” ‘গতি’ ছাড়াও ‘সৃ’-ধাতুর অপর এক অর্থ— ‘বিকশিত হওয়া’। তাই ‘সরস্বতী’ শব্দের মধ্যে বিকাশের আকুলতাও আছে।
সরস্বতীর আর এক নাম ‘বাগ্-দেবী’। ‘বাক্’ মানে— বাক্য বা শব্দ। তা’ শুনে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, “তাহ’লে সরস্বতী শব্দেরও দেবতা।”
সরস্বতী-প্রতিমার মধ্যে সৃজন-প্রগতিকে লক্ষ্য করা যায়। সরস্বতী গতির প্রতীক। সৃষ্টির আদিতেও আছে ঋত (‘ঋ’- ধাতু, অর্থ— গতি)। অনন্তের বুকে আকর্ষণ-বিকর্ষণের গতির মধ্য দিয়ে সৃষ্টির প্রথম সঞ্চার। সেখান থেকেই সৃষ্টি বিকশিত হ’য়ে উঠল। আবার, এই গতির মধ্যে আছে স্পন্দন। স্পন্দনই ব্যক্ত হ’য়ে উঠেছে শব্দে। অনন্ত ব্যোমে এই শব্দ ছড়িয়ে আছে নানা রূপে। তাই, শ্রীমদ্ভাগবতে আছে, আদিতে পরমব্রহ্ম শব্দরূপী। তাঁকে উপলব্ধি করতে হ’লে শব্দের উপাসনা করতে হয়। সরস্বতী পূজা সেই শব্দ-উপাসনারই ব্যাপার।
এখন আমরা প্রতিমার আঙ্গিকগুলি বিশ্লেষণ করে সমস্ত চিত্রটা বোঝার চেষ্টা করি। পরম দয়াল শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কাছে এক একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রত্যেকটিরই সমাধানী উত্তর দিয়ে মানুষের জ্ঞানের ক্ষুধা তিনি মিটিয়ে দিয়েছেন। তিনি যেভাবে যা’ বলেছেন, আমরা সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে অনুসরণ ক’রেই মা-সরস্বতীকে হৃদয়ঙ্গম করতে চেষ্টা করি।
মায়ের চরণ যে পদ্মের উপরে ন্যস্ত, সেই পদ্মটি ফুটে আছে জলে। এই জল কী ? মনুসংহিতায় আছে, অব্যক্ত ঈশ্বর যখন জীবজগৎ সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করলেন তখন তিনি প্রথমে জল সৃষ্টি করলেন (১/৮)। জল প্রথম সৃষ্টি কেন ? কারণ, জল না হ’লে কোন প্রাণীই বাঁচে না। আবার পঞ্চমহাভূতের (ক্ষিতি, অপ্, তেজ, মরুৎ, ব্যোম) মধ্যে প্রথম ঘনীভূত অবস্থা ঐ জল (অপ্)। এর আগে আছে ব্যোম অর্থাৎ শূন্য, মরুৎ অর্থাৎ বায়ু, এবং তেজ অর্থাৎ অগ্নি। সবটাই বায়বীয় বা বাষ্পীয় অবস্থা। ঘনীভূত প্রথম ভূতই হ’ল জল। তাই, জল সৃষ্টির প্রথম পর্য্যায়ের প্রতীক।
জলের উপরে পদ্ম। ‘পদ্ম’ শব্দের উৎপত্তি ‘পদ্’- ধাতু থেকে, অর্থ—- গতি, স্থিতি, প্রাপ্তি। সৃষ্টির প্রথম ধাপেই আছে—- ঋত ও সত্য—- গতি ও স্থিতি (ঋগ্বেদ)। একে আশ্রয় করেই কোন কিছু বিকশিত বা বিবর্দ্ধিত হয়ে ওঠে। কোন মানুষ যখন হেঁটে যায়, তখন একটি পায়ে স্থিত হয়ে তারপর আর একটি পা বাড়ায়। একটি শিশু বটগাছের চারা যখন বিরাট বৃক্ষ হয়, তখন তা’ সেই বটগাছই থাকে, নিজত্বে অটুট থেকে বেড়ে বেড়ে ওঠে। এই গতি ও স্থিতি সৃষ্টির সবকিছুর মধ্যেই অন্তঃস্যূত। বিশ্বসৃষ্টির প্রথম ধাপেও একটা অবস্থিতিকে অবলম্বন করে সৃষ্টি বিকশিত হয়ে উঠেছিল। হয়ে থেমে নেই, এগিয়ে চলেছে তা একটা পরিণতির দিকে—- যার আর এক নাম দেওয়া যায়— প্রাপ্তির দিকে। আর, যার গতি যেমন, তার পরিণতি বা প্রাপ্তিও হয় তেমনি।

sdree sree thakur
মা-সরস্বতী হংসাসীনা। ‘হংস’ বলতে শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন— ‘অহং সঃ’, অর্থাৎ আমিই সেই, তার মানে— প্রতিটি ব্যক্তি। যিনি সর্ব্বজ্ঞানের অধীশ্বরী, তিনি চান প্রতিটি মানুষ তাঁকে বহন করে নিয়ে চলুক। এই হ’ল হংসারূঢ়া দেবীর তাৎপর্য্য। বিদ্যা তথা জ্ঞানের চর্চ্চা যে-পরিবারে বা যে-সমাজে যত বেশি, তাদের মনের তার তত উঁচু গ্রামে বাঁধা থাকে। হীনতা, সঙ্কীর্ণতা, স্বার্থপরতা, অশ্লীলতা সেখানে ঠাঁই পায় না। মানুষের মন উদার হয়, পরার্থপর হয়, তাদের সহন, ধারণ ও বহন শক্তি বাড়ে। এই জন্যেই দেবী হংসবিহারিনী। তা’ ছাড়া আরও আছে। ‘হংস’ হল— ‘কলনাদী’ বা ‘কলকণ্ঠ’। ‘কল’- শব্দের উৎপত্তি ‘কল্’- ধাতু থেকে ; মানে— গতি, শব্দ। হংসরূপী প্রতিটি ব্যক্তিসত্তাই শব্দব্রহ্ম থেকে উদ্ভূত, আর সৃষ্টির প্রতিটি পদার্থের মধ্যেই আছে— গতি বা চলমানতা। সবই নিরন্তর গতিশীল। তাই, বিশ্বের অপর নাম ‘জগৎ’। ‘জগৎ’ শব্দটি এসেছে ‘গম্’- ধাতু থেকে, অর্থ— গতি। তাই, ‘গতি’ ও ‘শব্দ’ হংসের মধ্যে নিত্য অবস্থিত।
মায়ের কোলের উপরে বই। তিনি যে বিদ্যার দেবী। পুস্তক বা গ্রন্থ সেই বিদ্যার প্রতীক। জ্ঞানচর্চা তাঁরই ক্রোড়ে লালিত হয়। আমরা আগেই বলেছি, সরস্বতীর মধ্যে সৃজন-প্রগতি যেন বিকশিত হ’য়ে উঠেছে। তাঁর মধ্যে নিহিত আছে সৃষ্টির মূল কথাগুলি। সেই মূল কারণ যে অবগত হ’তে পারে, তারই তো প্রকৃত বিদ্যালাভ হয়। ‘বিদ্যা’- শব্দের উৎস সংস্কৃত ‘বিদ্’- ধাতু, অর্থ— জ্ঞান, বিচারণা, অস্তিত্ব, প্রাপ্তি। তাহ’লে বিদ্যা লাভ যার হয়, তার অস্তিত্ব বজায় রাখার জ্ঞান থাকে। বিচারশক্তি থাকে, মন্দ থেকে ভালটাকে সে বেছে বের ক’রে নিতে পারে এবং এইভাবে সে এগিয়ে চলে তার মূল প্রাপ্তি বা গন্তব্যের দিকে। সে গন্তব্য হ’ল ধারণ-পালনী-সম্বেগসিদ্ধ ব্যক্তিত্বলাভ, অপর কথায় ঈশ্বরপ্রাপ্তি। এই সব অবস্থাটাই মায়ের ক্রোড়ে সযত্নে পালিত, পোষিত ও বর্ধিত হয়। পুস্তকের অপর তাৎপর্য হ’ল— পুস্তক পাঠ করা হয়, অর্থাৎ পাঠ করা হয় শব্দ। পুস্তকস্থ পদ ও বাক্যগুলি শব্দ-সহযোগেই গঠিত। আর, এই শব্দ তথা জগতের সব শব্দই সেই পরম শব্দব্রহ্মের থেকেই উদ্ভূত।
সরস্বতীর হস্তে বীণা। বীণাতেও উত্থিত হয় ধ্বনি বা নাদ। তাও ঐ শব্দ-উপাসনারই প্রতীক। দেবী সরস্বতীর বীজমন্ত্র ঐং। এই ঐং-ধ্বনি ঝংকার সহ উচ্চারণ করলে অনেকটা বীণা-ধ্বনির মতই প্রতীতি হয়। সাধনন্তরে সাধক একটা যায়গায় এই বীণা ধ্বনি শুনতে পান। সেই স্তরের নাম সত্যলোক, অর্থাৎ যেখান থেকে অস্তিত্বের বার্তা প্রচারিত হয় (‘অস্’- ধাতু, অর্থ— অস্তিত্ব, বিদ্যমানতা ; অস্ + শতৃ—- সৎ)। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্ৰ সাধনার বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে বলতে গিয়ে এখানকার সম্পর্কে বলেছেন—- “ওখানে ঐরকম শব্দ হয়।” উপলব্ধিবান সাধক সেই ধ্বনি অন্তর-কর্ণে শ্রবণ করেন।
ওঁ, ঐং, হ্রীং, ক্লীং প্রভৃতি যেসব বীজমন্ত্র আছে, সেগুলিও নাদের বা শব্দের বিভিন্ন স্তরের কম্পন। শব্দকে যদি অধিগত করা যায়, তবে সৃষ্টিধারার মূল মরকোচ হাতে এসে যায়। তখন বিষয় ও ব্যাপার সমূহের কার্য্যকারণ-সম্বন্ধও চিত্তে ধরা পড়ে। তাই, সদ্-গুরুর কাছে দীক্ষা নিয়ে বিধিমত নামজপ করার নির্দেশ আছে। আর, যে কোন পূজার আগেই গুরুপূজা অপরিহার্য্য।
সরস্বতীর আর এক নাম ‘ভদ্রকালী’, অর্থাৎ তিনি কল্যাণগতিসম্পন্না। [ ‘ভদ্র’ = কল্যাণ ; ‘কালী’—- ‘কল্’- ধাতু = গতি ] তাঁকে ভালবেসে, তাঁর সেবা ক’রে মানুষ শব্দস্তরকে আয়ত্ত করতে পারে। শব্দের ক্রমাধিগমন এবং বিষয় ও বস্তুতে তা’ কিভাবে মূর্ত্ত হ’য়ে উঠেছে, সেই বিন্যাসক্রম যার করায়ত্ত, সে শব্দকে ইষ্টার্থে প্রয়োগ ও ব্যবহার ক’রে কল্যাণের অধিকারী হ’য়ে উঠতে পারে।
সরস্বতীর আটটি শক্তি—- লক্ষ্মী, মেধা, ধরা, তুষ্টি, গৌরী, পুষ্টি, প্রভা, ধৃতি। সরস্বতীর একনিষ্ঠ সেবক যে, তার ভিতর স্বতঃই ঐ সব শক্তির জাগরণ ঘটে।
সরস্বতী শুক্লবর্ণা, শুভ্রবস্ত্রাবৃতা। এই সাদা রঙ-এর তাৎপর্য্য কী ? সাদা রঙ পবিত্রতার প্রতীক। আবার, সত্ত্বগুণের রঙও সাদা। সত্ত্বগুণ মানে অস্তিত্ব যাতে বজায় থাকে তার চর্চা (সৎ + ত্ব—- সত্ত্ব)। সত্ত্বগুণের চরিত্র হচ্ছে হালকা। তা’ সহজে উপরের দিকে উঠতে পারে। উপরের দিকে উঠতে পারে কে ? যার নীচের দিকে ওজন ভারী নয়, অপর কথায় প্রবৃত্তির পাষাণ-ভার থেকে যে মুক্ত। প্রবৃত্তিমুক্ত যে সেই তো প্রকৃত মুক্ত। আবার দেখা যায়, সমস্ত বর্ণ একত্র মিশ্রিত করলে সাদা হয়। সরস্বতীর শুভ্র বর্ণের মধ্যে এই মিলন বা সমাহারের ইঙ্গিত বর্তমান।
এইভাবে সবটা দেখলে বোঝা যায় যে, সরস্বতীর উপাসনা মানে পরব্রহ্মেরই উপাসনা, সৃষ্টিতত্ত্বের উপাসনা। এই তাৎপর্য্য জেনে যাঁরা পূজা করেন, তাঁদেরই সরস্বতী-পূজা সার্থক হয়। মা-সরস্বতী সতাৎপর্য্যে তাদের নিকট প্রতিভাত হন।
এই কারণে সৎসঙ্গ-আশ্রমে সরস্বতীপূজা সাড়ম্বরে হয়ে থাকে। শ্রীশ্রীঠাকুর স্বয়ং পুষ্পাঞ্জলি দিতেন হাঁটু গেড়ে ব’সে এবং পরে প্রণামী-সহ প্রণাম নিবেদনও করতেন। অসুস্থতার জন্য যখন মণ্ডপগৃহে যেতে পারতেন না, তখন ঘরে নিজ শয্যাতে ব’সেই পুষ্পাঞ্জলি দিতেন। পুরোহিত সেখানে এসে মন্ত্র পড়িয়েছেন। পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে ভক্তিভরে মা-সরস্বতীকে প্রণাম না করা পর্য্যন্ত শ্রীশ্রীঠাকুর আহার গ্রহণ করতেন না। তিনি যে লোকগুরু ! আচরণ ক’রে শিখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে চলতে হয়, মায়ের সামনে কেমন বিনীত ভঙ্গিমায় বসতে হয়, অঞ্জলি দিতে হয়। আবার, তাৎপর্য্য ভেঙ্গে বুঝিয়ে দিয়েছেন মা-সরস্বতী কী, সরস্বতী প্রতিমার সজ্জা এমনতর কেন ! সমস্ত তাৎপর্য্য সংহত ক’রে সেই ভাব ছোট একটি বাণীতে শ্রীশ্রীঠাকুর ব্যক্ত করেছেন। সেই বাণীটি উদ্ধৃত করে এ নিবন্ধের উপসংহার করি—-
“বিকাশ-ব্যাকুল গতিই যাঁর সংস্থিতি—-
তিনিই সরস্বতী,
আর, বাক্ বা শব্দই যাঁর সত্তা—-
তিনিই বাগ্-দেবী ;
তাই, যিনিই বাগ্-দেবী
তিনিই সরস্বতী।”
________________________________
গ্রন্থ সুত্র– “শ্রীশ্রীঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গীতে দেবদেবী”
শ্রীদেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

 

 

Currently Reading:

সরস্বতী দেবীর পূজা সম্বন্ধে শ্রীশ্রীঠাকুর

Read More On IstoKathan:

কিভাবে কথা বলতে হয়’ -উত্তরে শ্রীঠাকুর

সক্রেটিসের ফর্ম্মুল’ নিয়ে আলোচনা- বড়দা ও শ্রীশ্রীঠাকুর

পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে পরামদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের কতিপয় উক্তি



 

Stay Connected with ISTOKATHAN

FaceBook  YouTube  Linkedin   Instagram  Pinterest  Twitter  Email Us



 

You Might Also Like

একুশে বই মেলা’য় সৎসঙ্গের স্টল-শ্রীশ্রীঠাকুরের বানী ও আদর্শে মুগ্ধ পাঠকের ভিড়!

শ্রীশ্রীঠাকুরের অনন্তযাত্রা ‘র পূর্বাপর- দীপক কুমার দত্ত

পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে পরামদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের কতিপয় উক্তি

দীক্ষা সংকল্প ও ইষ্টটান সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর

সক্রেটিসের ফর্ম্মুল’ নিয়ে আলোচনা- বড়দা ও শ্রীশ্রীঠাকুর

TAGGED: শ্রীশ্রীঠাকুর, সরস্বতী দেবী, সরস্বতী দেবীর পূজা সম্বন্ধে শ্রীশ্রীঠাকুর

Sign Up For Daily Newsletter

Be keep up! Get the latest breaking news delivered straight to your inbox.

By signing up, you agree to our Terms of Use and acknowledge the data practices in our Privacy Policy. You may unsubscribe at any time.
test November 7, 2023 February 16, 2021
Share This Article
Facebook Twitter Copy Link Print
Share
Previous Article শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে পরামদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে পরামদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের কতিপয় উক্তি
Next Article Istokathan -Sree Sree Thakur শ্রীশ্রীঠাকুরের অনন্তযাত্রা ‘র পূর্বাপর- দীপক কুমার দত্ত
1 Comment 1 Comment
  • Puspojit Roy says:
    February 16, 2021 at 8:07 am

    JOYGURU
    Khub sundor lekha!!

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

235.3k Followers Like
69.1k Followers Follow
11.6k Followers Pin
56.4k Followers Follow
136k Subscribers Subscribe
4.4k Followers Follow
- Advertisement -

Latest News

0x1c8c5b6a
Uncategorized April 13, 2025
0x1c8c5b6a
Uncategorized April 13, 2025
Tron: Ares 2025 HDRip Dow𝚗load To𝚛rent
MOVIEBLOG March 20, 2025
Les Musiciens 2025 Must-see Films Magnet
MOVIEBLOG March 20, 2025

About Sree Sree Thakur

Sree Sree Thakur Anukulchandra The Yuga Purushottam was born on 14 September 1888 in Himaitpur village in the Pabna district of the eastern zone of Bengal in undivided India, now in Bangladesh. His father was Shibchandra Chakravarty (Shandilya Gotra Kanyakubja Brahmin) and his mother was Manmohini Devi.

Quick Link

  • সুন্দর ব্যবহার
  • ধর্ম ও মানবতা
  • বইসমুহ
  • নিষ্ঠা ও আদর্শ
  • পরিবার ও সমাজ গঠন
  • ধর্ম ও মানবতা

Top Categories

  • Home
  • Our Blog
  • Contact For Blogging
  • About Our Blogs
  • Category

Sign Up for Our Newsletter

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

IstoKathan- ইষ্টকথনIstoKathan- ইষ্টকথন
Follow US
© 2023 ISTOKATHAN All Rights Reserved.

  • গ্রন্থ আলোচনা


  • গ্রন্থ আলোচনা

Istokathan -Sree Sree Thakur
JOYGURU! Join Us!

Subscribe to our newsletter and never miss our latest news, podcasts etc..

Zero spam, Unsubscribe at any time.
adbanner
AdBlock Detected
Our site is an advertising supported site. Please whitelist to support our site.
Okay, I'll Whitelist
istokathan istokathan
Welcome Back!

Sign in to your account

Register Lost your password?