কথা বললে তা’ বিনীত সৌজন্যপূর্ণ হওয়া চাই’
বিনীত সৌজন্যপূর্ণতা-উত্তরে শ্রীশ্রীঠাকুর
‘আমাকে লোকে খামাকা মারত। কারো কোন ক্ষতি হয় এমন কাজ আমি কখনও করতাম না,তবুও মারত।’
বিনীত সৌজন্যপূর্ণতা-উত্তরে শ্রীশ্রীঠাকুর-
একটি দাদা একজনের সাথে কথা বলতে যেয়ে একটি ভুল কথা বলে এসেছেন। এখন সেই ভুলের কথা শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে স্বীকার ক’রে বললেন-ওটা আমার খুব অন্যায় হ’য়ে গেছে। তিনি হয়তো রাগ করবেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর– আমি হ’লে ওরকম কথা কইতাম না। আমার কথা বলে ঠিক হয়েছে মার খেতে খেতে। একটা কথা বললে একজন হয়তো রাগ করল। সঙ্গে-সঙ্গে আমি তাকে বলতাম,’দেখ ভাই,আমি এখনও কথা কইতে শিখিনি। আমার কথা বলা ভুল ভুল হ’তে পারে। কিন্তু আমি বলতে চেয়েছি এই।’ সঙ্গে-সঙ্গে সে কইত,’না,না, তাতে কী? মানুষের অমনি হ’য়েই থাকে।’ মানুষের কাছে যদি বোদ্ধা-ভাব দেখাতে যাও,সঙ্গে-সঙ্গে সে মনে করবে ‘আমিই কি কম বোদ্ধা!’ কথা বললে তা’ বিনীত সৌজন্যপূর্ণ হওয়া চাই। এগুলি আমার নিজের experience (অভিজ্ঞতা)।
একটু পরে পূর্ব্ব স্মৃতি রোমন্থন ক’রে শ্রীশ্রীঠাকুর ধীরে-ধীরে বলছেন- আমাকে লোকে খামাকা মারত। কারো কোন ক্ষতি হয় এমন কাজ আমি কখনও করতাম না,তবুও মারত।
জামতলা-প্রাঙ্গনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে যে ঘরগুলি হচ্ছে তার কাজ শ্রীশ্রীঠাকুর আগামী রবিবারের মধ্যেই সম্পন্ন করতে বলেছেন। এখনও কর্ম্মীদের ডেকে আবার সেকথা ব’লে দিলেন। অজয়দার (গাঙ্গুলী) মা জিজ্ঞাসা করলেন- আপনি রবিবারের মধ্যে শেষ করার জন্য এত জোর দিচ্ছেন কেন?
শ্রীশ্রীঠাকুর– ঠিক সময়মত কাজ করতে না পারলে আমার কষ্ট হয়। প্রয়োজনের পূর্ব্বেই আমার প্রস্তুতি। এই যে সুধীর (দাস) এরা আছে,এরা আমার হাতিয়ার। আমার রকম এরা জানে। কাল সকালে কোন কাজ শেষ করব ব’লে যদি মনে করেছি,ঠিক ঐ সময়ের মধ্যে শেষ না ক’রে ছাড়ি নি। (কালিদাসী-মাকে) অজয়কে ক’য়ে আয়,এই কোণে উত্তরের দিকে একটা আলো দেওয়া লাগবে-জোরালো আলো,যাতে সাপ,পোকামাকড় সব দেখা যায়।
১৪ই আশ্বিন,শনিবার,১৩৬২ (ইং ১/১০/১৯৫৫)
দীপরক্ষী ২য় খণ্ড
Read More On IstoKathan:
কিভাবে কথা বলতে হয়’ -উত্তরে শ্রীঠাকুর
সক্রেটিসের ফর্ম্মুল’ নিয়ে আলোচনা- বড়দা ও শ্রীশ্রীঠাকুর
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে পরামদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের কতিপয় উক্তি
সক্রেটিসের ফর্ম্মুল’ নিয়ে আলোচনা- বড়দা ও শ্রীশ্রীঠাকুর
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে পরামদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের কতিপয় উক্তি
Stay Connected with ISTOKATHAN
“কিভাবে কথা বলতে হয়’ ও কথা বলায় বিনীত সৌজন্যপূর্ণতা-উত্তরে শ্রীশ্রীঠাকুর”
কথা বললে তা’ বিনীত সৌজন্যপূর্ণ হওয়া চাই’- শ্রীশ্রীঠাকুর
‘আমাকে লোকে খামাকা মারত। কারো কোন ক্ষতি হয় এমন কাজ আমি কখনও করতাম না,তবুও মারত।’
বিনীত সৌজন্যপূর্ণতা-উত্তরে শ্রীশ্রীঠাকুর-
একটি দাদা একজনের সাথে কথা বলতে যেয়ে একটি ভুল কথা বলে এসেছেন। এখন সেই ভুলের কথা শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে স্বীকার ক’রে বললেন-ওটা আমার খুব অন্যায় হ’য়ে গেছে। তিনি হয়তো রাগ করবেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর– আমি হ’লে ওরকম কথা কইতাম না। আমার কথা বলে ঠিক হয়েছে মার খেতে খেতে। একটা কথা বললে একজন হয়তো রাগ করল। সঙ্গে-সঙ্গে আমি তাকে বলতাম,’দেখ ভাই,আমি এখনও কথা কইতে শিখিনি। আমার কথা বলা ভুল ভুল হ’তে পারে। কিন্তু আমি বলতে চেয়েছি এই।’ সঙ্গে-সঙ্গে সে কইত,’না,না, তাতে কী? মানুষের অমনি হ’য়েই থাকে।’ মানুষের কাছে যদি বোদ্ধা-ভাব দেখাতে যাও,সঙ্গে-সঙ্গে সে মনে করবে ‘আমিই কি কম বোদ্ধা!’ কথা বললে তা’ বিনীত সৌজন্যপূর্ণ হওয়া চাই। এগুলি আমার নিজের experience (অভিজ্ঞতা)।
একটু পরে পূর্ব্ব স্মৃতি রোমন্থন ক’রে শ্রীশ্রীঠাকুর ধীরে-ধীরে বলছেন- আমাকে লোকে খামাকা মারত। কারো কোন ক্ষতি হয় এমন কাজ আমি কখনও করতাম না,তবুও মারত।
জামতলা-প্রাঙ্গনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে যে ঘরগুলি হচ্ছে তার কাজ শ্রীশ্রীঠাকুর আগামী রবিবারের মধ্যেই সম্পন্ন করতে বলেছেন। এখনও কর্ম্মীদের ডেকে আবার সেকথা ব’লে দিলেন। অজয়দার (গাঙ্গুলী) মা জিজ্ঞাসা করলেন- আপনি রবিবারের মধ্যে শেষ করার জন্য এত জোর দিচ্ছেন কেন?
শ্রীশ্রীঠাকুর– ঠিক সময়মত কাজ করতে না পারলে আমার কষ্ট হয়। প্রয়োজনের পূর্ব্বেই আমার প্রস্তুতি। এই যে সুধীর (দাস) এরা আছে,এরা আমার হাতিয়ার। আমার রকম এরা জানে। কাল সকালে কোন কাজ শেষ করব ব’লে যদি মনে করেছি,ঠিক ঐ সময়ের মধ্যে শেষ না ক’রে ছাড়ি নি। (কালিদাসী-মাকে) অজয়কে ক’য়ে আয়,এই কোণে উত্তরের দিকে একটা আলো দেওয়া লাগবে-জোরালো আলো,যাতে সাপ,পোকামাকড় সব দেখা যায়।
১৪ই আশ্বিন,শনিবার,১৩৬২ (ইং ১/১০/১৯৫৫)
দীপরক্ষী ২য় খণ্ড
এই ধরনের অন্যান্য আরও আলোচনা পড়তে ভিজিট করুন……
https://istokathan.com/কিভাবে-কথা-বলতে-হয়-বিনীত-স/