পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে পরামদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুর
‘পাঞ্জা’ দেওয়া সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর দৃঢ়কণ্ঠে বললেন – এ সবের god-gifted normal authority হচ্ছে বড়খোকা।
কথাপ্রসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর হাসি মুখে বললেন – বড়খোকা একটা shelter of people (লোকের আশ্রয়স্থল) হয়ে দাঁড়িয়েছে – আমি বড় খুশি।
(আ. প্র. -১২)
মানুষের জীবনে stay (স্থিতিভূমি) এর দরকার, যার উপর দাঁড়ায়, যে বয়, যে রাখে, পালে – তার সব দিয়ে। যেমন আমি আছি, তোমরা আছ। তোমাদের কষ্ট হওয়া কঠিন যতদিন আমি আছি। আবার বড়খোকা যেমন আছে, যেমন দেখছি ওকে, আমি যাবার পর সে থাকলে, কিংবা পরে তার মতো আর কেউ যদি হ’য়ে ওঠে, তোমরা কষ্ট পাবানা বলে ভরসা হয়।
(আ.প্র. -১৪)
‘পাঞ্জা’ দেওয়া সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর দৃঢ়কণ্ঠে বললেন – এ সবের god-gifted normal authority হচ্ছে বড়খোকা।
(দীপরক্ষী – 23/6/60)
‘যদি আমার কিছু হয়ে যায়, আমি না বাঁচি, তবে বড়খোকা রইল, তাকে মাথায় নিয়ে তোরা সবাই চলিস’
শ্রীশ্রীঠাকুর বড়দার দিকে চেয়ে হাসতে-হাসতে বলছেন – তোর কথা সবাই শোনে। এতে আমি খুব খুশী হই। আমি বললে পরে তুমি সেটা করোই। আমি sure হই যে তুমি করবেই। তাতে আমার খুব ভালো লাগে। আমার খুব তৃপ্তি হয়। (প্রতুলদীপ্তি)
যদি আমার কিছু হয়ে যায়, আমি না বাঁচি, তবে বড়খোকা রইল, তাকে মাথায় নিয়ে তোরা সবাই চলিস। তার আদেশ ও নির্দেশ মতো সবাই যেন চলে।
(আলোচনা – অগ্রহায়ণ, ১৩৭৮)
বড়খোকা যা বলে শুনবি, আমিই বড়খোকা। বড়খোকার সাথে থাকা মানেই আমার সাথে থাকা।
(আলোচনা – অগ্রহায়ণ ১৩৭৮)
‘আমার বড়ছেলের উপরই সব ভার থাকবে’
পরমপিতা যদি বাঁচিয়ে জিইয়ে রাখেন, তবে বড়খোকাই সব দেখাশুনা করবে, সব কিছু পরিচালনা করবে, সে তোমাদের কমিটির ভেতরে থেকেই হউক, কিংবা বাইরে থেকেই হউক।
শ্রীযুক্ত সিদ্ধেস্বর ভট্টাচার্য (কাশি হিন্দু বিদ্যালয় এর সংস্কৃতের অধ্যাপক) মহাশয় এসেছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুর দর্শনে। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুরকে – তাঁর তিরোধানের পর সঙ্ঘের দায়িত্ব কার ‘ পরে দিয়ে যাবেন। শ্রীশ্রীঠাকুর সেদিন বলেছিলেন – আমার বড়ছেলের উপরই সব ভার থাকবে। শাস্ত্রে নাকি আছে , বড়ছেলেরই ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকার আছে। আমি তাকেই সব দিয়ে যাব।
( আলোচনা – অগ্রহায়ণ, ১৩৭৮, page- 42)
‘বড়খোকার বাইরের রূপ দেখে ওর স্বরূপ বোঝা কঠিন’
বড়াল-বাংলোর বারান্দায় ঠাকুর একদিন খুব অসুস্থ্য বোধ করেন। তখন তাঁর কাছাকাছি বড়দা, কেষ্টদা, আমি ( শ্রী চুনীলাল রায়চৌধুরী) দাঁড়িয়ে আছি। ঠাকুর তক্ষনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন – এই দ্যাখ্! আমার যদি কিছু হয়ে যায়, তবে বড়খোকা রইলো, ওকে মাথায় নিয়ে তোরা সবাই চলিস।
খোকার সাথে সবাইর যা সম্বন্ধ, আমার সাথেও তাই। ওর সাথে থাকা মানেই আমার সাথে থাকা। আমার মনের কথা বললাম, অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে।
বড়খোকার বাইরের রূপ দেখে ওর স্বরূপ বোঝা কঠিন। ও বড় সাচ্চা। কেউ যদি ওর ভেতরে ঢুকতে পারে, বুঝে নেবে কেইসা মাল।
এই শোন মণি, বড়খোকা হল তোদের বড়দা। ওর কিছু হওয়া মানে তোদের হওয়া, না কি কইস? ওই যে কুকুর, বাড়ি, গাড়ী যা যা দেখিস, ও-সব কিছুই ও আমার কাছে চায় না। আমি ওকে কই রাখতি। আমার কথা শুনেই ও চলে। দ্যাখ আমি যদি যার উপর sincere না হই, তবে তোদের উপর হই কেমন করে? যারা শুনবার চায়, তুই ঠিক মতো কইস।
25/10/54
শ্রীশ্রীঠাকুর – শোনেন ত্রৈলোক্যদা, হিমাইতপুরের মূল আশ্রমের সংস্থা দেওঘর হবে। আর তার প্রকৃত কর্ম সৎসঙ্গ দ্বারা পরিচালিত হবে। আর, অন্য যে-কোনো স্থানেই ঋত্বিকদের office মনোনীত করুক না কেন, তা কিন্তু স্থায়ী হবেনা। ঋত্বিকরা যদি পরস্পর মিলিত হয়ে করে – তবে তাতেই লাভ হবে। আর জিডি ঋত্বিকরা ধনগর্বে গর্বিত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা করে তবে উভয়েরই ক্ষতি। আমি অনেক চিন্তার পর সৎসঙ্গ এর চালক হিসাবে বড়খোকাকে ভার দিলাম। অন্য কোনই ব্যক্তির উপর এই ভার দেওয়া যায়না। এখন পরমপিতার ইচ্ছা অনুযায়ী সে চললেই কাজ হবে।
( আলোচনা, অগ্রহায়ণ-১৩৭৮)
Currently Reading:
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে পরামদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের কতিপয় উক্তি
Read More On IstoKathan:
কিভাবে কথা বলতে হয়’ -উত্তরে শ্রীঠাকুর
সক্রেটিসের ফর্ম্মুল’ নিয়ে আলোচনা- বড়দা ও শ্রীশ্রীঠাকুর
Joyguru
Joyguru