শিব-শক্তি,পুরুষ-প্রকৃতি বিশ্বে আছে দুই ধারা,
এ দুয়েরই সঙ্গতিতে ভরদুনিয়ার সব গড়া।
-শ্রীশ্রীঠাকুর
এ দুয়েরই সঙ্গতিতে ভরদুনিয়ার সব গড়া।
-শ্রীশ্রীঠাকুর
শ্রীশ্রীঠাকুর আজ বিকালে বড়াল-বাংলোর বারান্দায় ব’সে বনবিহারী(ঘোষ) প্রমুখের সঙ্গে শিবলিঙ্গ সম্বন্ধে আলোচনা করলেন।
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ-শিবলিঙ্গ পুরুষ-প্রকৃতির মিলনেরই দ্যোতকতা থেকেই যা-কিছু সৃষ্টি।এর পিছনে যে তত্ত্ব আছে ,তাতে পৌঁছানোর জন্যই ওই পূজার ব্যবস্থা।
প্রশ্ন-ব্রহ্মা ,বিষ্ণু,শিব বলে কি কিছু ছিলো?
শ্রীশ্রীঠাকুরঃ-ব্রহ্মা,বিষ্ণু,শিব বলে নির্দিষ্ট কিছু নেই। তিনটি শক্তি-একটি সৃষ্টি করে,(ব্রহ্মা)।একটি Regulator পালনকর্তা(বিষ্ণু)।আর একটি সংহারকর্তা(শিব)।এই তিনটি বৃত্তাকারে চলছে।প্রলয় মানে পরিবর্তন ন।জগৎ একভাবে চলতে-চলতে যখন তার অবসাদ এসে যায়,তখন একটা নতুন কিছু চায়।তখন যে মহাপুরুষ সেই নতুন বস্তু জগতের নিকট ঘোষনা করেন তাঁকেই আমরা অবতার বলি।
-এই ত্রিশক্তি আলাদা নয়।একের তিনটি দিক।এদের মধ্যে বিরোধও নেই।সবাই মঙ্গল করেন নিজের রকমে।ত্রিশক্তির সুসমন্বিত মঙ্গল মূর্তি হলেন সদগুরু(ইষ্ট)।
ব্রত শব্দটি এসেছে বৃ-ধাতু থেকে,অর্থ বরণ করা।শিবব্রত করা মানে শিবত্বকে বরণ ক’রে নেওয়া,শিবকে আপন করে নেওয়া।আর তা’বছরের ঐ একটিমাএ দিনের জন্য নয়,সারাজীবনের প্রতিটি মুহূর্তে। আর,ব্রত-শব্দের আর একটি উৎপত্তি হ’ল ব্রজ ধাতু থেকে,অর্থ চলা।শিবরুপি সদগুরু যেমন চান সেইমত চলা,বলাও করা থাকলেই ব্রত সার্থক হয়।
(সূত্রঃ-আঃপ্রঃ ও ঠাকুরের দৃষ্টিতে দেব-দেবী)
শ্রীশ্রীঠাকুর-শুনেছি, শিব ছদ্মবেশে পার্বতীর কাছে এসে যখন শিবনিন্দা করতেন তখন পার্বতী তার প্রত্যেকটির কথার মোক্ষম জবাব দিয়ে দিতেন এবং পরে বলতেন—- মহতের নিন্দা যে করে ও যে শোনে উভয়েই পাপী । আপনী নিজেও পাপে লিপ্ত হবেন না এবং আমাকেও পাপে লিপ্ত করবেন না । আপনার কথা শোনার মতো সময় আমার নেই। আপনি যার নিন্দা করছেন আমি সর্বদা তাঁর পূজা করি । আমার পূজায় ব্যাঘাত ঘটাবেন না দয়া ক’রে।
আলোচনা প্রসঙ্গে -১৯
(১২/৪/১৯৫০)
Read More On IstoKathan:
দীক্ষা সংকল্প ও ইষ্টটান সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর
কিভাবে কথা বলতে হয়’ -উত্তরে শ্রীঠাকুর
সক্রেটিসের ফর্ম্মুল’ নিয়ে আলোচনা- বড়দা ও শ্রীশ্রীঠাকুর
————————————————————————————————–